আমি তার অপেক্ষায় ছিলাম,
কোন এক সাঁঝে তেপান্তরের পথে
সে বলেছিল ফিরে আসবে বছরখানেক পরে।
জীবিকার অন্বেষণে ছুটে যাবে নাকি অন্যখানে
আমাদের কথা তখনো ফুরায়নি,
তার বন্ধু অনিমেষ নিয়ে যায় তাকে অচিনপথে।
আমি তাদের যাত্রা পথে একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলাম,
কী যেন অদ্ভুত ভয় হচ্ছিল!
ফিরবে সে? কবে পার হবে বছরখানেক
নানা জল্পনাকল্পনায় নিজেকে হারিয়ে ফেললাম।
আমি তার অপেক্ষায় ছিলাম,
নাটমন্দিরের ধারে রোজ যেতাম
বছরখানেক পরে,
আমাদের সেই বকুলতলায় তার পথ চেয়ে থাকতাম,
এদিক ওদিক খুঁজে ক্লান্ত হয়ে যেতাম
তখন হতাশ হয়ে আখিঁজলে ঘরে ফিরতাম।
আমি তার অপেক্ষায় ছিলাম
হয়তো শুধু আমি না,
সুখ পাখিটাও তার অপেক্ষায় ছিল
রোজ যখন তরুতলে যেতাম
ওর করুণ ডাক শুনতাম
আমার মতো সেও যেন কাকে খুঁজছে।
আমি তার অপেক্ষায় ছিলাম
রোজ সন্ধ্যায় প্রদীপ হাতে তেপান্তরের মাঠে যেতাম
নিবুনিবু আলোয় নদীর ধারে খুঁজতাম।
ভাবতাম, হয়তো সে এখানে অপেক্ষায় আছে,
আমার জন্য প্রহর গুনছে।
ঠিক তখনই আমার ভাবনা মিছে করে
ঝড়ো হাওয়া নিভিয়ে দিতো আলো,
আমি কালো সাঁঝের অন্ধকারে হারিয়ে যেতাম।
আমি তার প্রতিক্ষায় ছিলাম,
রোজ নতুন স্বপ্ন বুনতাম
খেয়ার ঘাটে উঁকি দিতাম
রঙিন চিরকুটের আশায় থাকতাম।
এভাবে বছরের পর বছর কেটে গেলো,
তবু তার বছরখানেক পার হলো না।
আর আমার অপেক্ষার প্রহরও শেষ হলো না।
নাম: নিগার সুলতানা
বর্ষ: প্রথম বর্ষ