নিগার সুলতানা
নিস্তব্ধ নিশি,
নিকষা আঁধারে আচ্ছাদিত চারিধার,
কোথাও নেই কোনো সাড়া
মাঝেমাঝে আঁধারের মধ্যে জ্বলে ওঠে জোনাক
মায়াবী রাতের নিস্তব্ধতা কিছুটা যেন কেটে যায়,
দূরের বনে হঠাৎ শোনা যায় শেয়ালের হাক
অন্ধকার ছেড়ে তারা চায় আলোর ঝাঁক
ঘরের পিছনে থমথমে বাঁশঝাড়ে
শোনা যায় হুতুম পেঁচার ডাক,
তার চোখগুলো যেন জলন্ত অনল,
বুড়ো ঠাকুমার ঘরে চলে বাতাস আর পিদিমের লড়াই,
তাকে শেষ পর্যন্ত তমসার ডুবিয়ে হেরে যায় পিদিমখানা
তমসার মায়াজালে তন্দ্রা আসে তার লোচনে।
সবাই যেন তন্দ্রাগ্রস্ত, নেই কোনো সাড়া
থমথমে আঁধার নেই কোনো ছায়া
যদি মাঝেমাঝে শেয়ালের ডাক শোনা না যেত,
তবে বলাই যেত এ কোনো মৃত্যুপুরী
নিকষা আঁধারে আচ্ছাদিত যার বুকখানি।
তবুও যেন অকৃত্রিম শোভা ছড়িয়ে আছে চারিধার
যে শোভা মায়া জাগায় কিশোরির মনে,
যে শোভা লেখনি হয়ে ওঠে লেখকের,
যে শোভায় নেই কোনো ছলনা,
ভালোবাসার আচ্ছাদনে অকৃত্রিম গ্রামবাংলা।
নিগার সুলতানা, প্রথম বর্ষ