এখানে এখন অনিয়ম ই নিয়ম হয়ে গেছে
এখানে এখন খুনই সাধারণ হয়ে গেছে।
এখানে এখন স্বাধীনতার স্বপ্নেরা প্রতিনিয়ত হয় দুঃস্বপ্নে বিলীন।
পেট্রলের আগুনে নুসরাতরূপে জ্বলে-পুড়ে যায় স্বাধীনতা,
ফিকে হয়ে আসে পতাকার সবুজ জমিন।
আবরারদের মৃত দেহ চক্ষু মুদে না, দেখে নির্লজ্জ স্বদেশ।
জন্মদানের অপমানে,হীরামনিদের সামনে দাঁড়াবার ভয়ে ঘরবন্দী জননী আজ
স্তন্যদানের লজ্জায় ধূলিধূসরিত তার দীঘল কৃষ্ণ কেশ।
এখানে এখন,নিয়নের বাতিগুলো কেমন যেন ভীত সন্ত্রস্ত নেত্রে তাকায়,
মানুষ নামের দুপায়ী জন্তুর ভয়ে শকুনিরা পালিয়ে বেড়ায়,
হার মেনে নেয় নেকড়ের দল।
এখানে এখন গুমরে গুমরে কেঁদে ওঠে একাত্তর,
সবখানে দেখি পঁচাত্তরের কালো ছায়া।
আগস্টের গর্জন যখন প্রখর, তখন মার্চের আর্তনাদে আকাশে গুমোট মেঘ জমে,
এখানে এখন মেঘের গর্জনে মাতৃভূমি রক্তাক্ত হয়।
উল্কাপতন হলে খন্ড বিখন্ড হয় জননীর কায়া।
ঝড়ের রাতে লন্ঠন হাতে হাঁটা বড় দায়, বাতাসের দমকে গমকে গমকে লন্ঠন নিভে যায়।
তবু স্বদেশ বাঁচাতে লণ্ঠন টা কাউকে জ্বালিয়ে রাখতেই হয়।
এখানে এখন তাই,
ফেব্রুয়ারীর সাহস চাই,
মার্চের সে স্লোগান চাই,
একাত্তরের ঐক্য চাই,
বায়ান্নর সে চেতনা চাই-
তবেই ঝড়ের রাত কেটে যাবে,
আগস্টের আলেয়া মুছে যাবে,
জেগে থাকবে শুধু সূর্যরাঙ্গা ডিসেম্বর।
শুধুই ডিসেম্বর।
লেখক: নাজিয়া তাসনিম, ২০১৭-১৮ সেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়